একাধিক বিয়ের কথা গোপন করে বারান্দিপাড়া এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে জেসমিন বেগম সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছেন সাবেক স্বামীদের সাথে। এসব কথা জেনে স্ত্রীকে তালাক দিয়েও মুক্তি পাচ্ছেন না ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
দু’ সন্তান নিয়ে এখন পথে পথে ঘুরছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে জেসমিনসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, পশ্চিম বারান্দিপাড়ার বাদশা মিয়া, বাপ্পী, জোসনা ও সদর উপজেলার গাইদগাছী গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ফারুক হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, যশোর সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা উপজেলার সরুলিয়া গ্রামের আনোয়ারুল হকের ছেলে আজিজুল হক সবুজ পুলিশের এস আই হিসেবে ঢাকায় কর্মরত। গত ২২ মার্চ আদালতে দায়ের করা মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, এক ছেলে এক মেয়ে রেখে ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই তার প্রথম স্ত্রী মারা যান। এরপর তিনি ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর জেসমিনকে রঘুরামপুর গ্রামে নিয়ে আসেন। দু’ সন্তানকে রেখে কর্মস্থলে চলে যান সবুজ। এরপর জেসমিন ওই দু’ সন্তানের ওপর অত্যাচার শুরু করেন। এমনকী, সন্তানেরা বাইরে গেলে প্রাক্তন দু’স্বামী ফারুক হোসেন ও মিলন হোসেনের সাথে মেলামেশা করতে থাকেন। এসব কাজে বাধা দিলেও শোনেন না জেসমিন। পরে জেসমিনকে ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তালাক দেন সবুজ।
মামলায় সবুজ আরও উল্লেখ করেন, তালাক পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন জেসমিন। ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেন জেসমিন। পাশাপাশি সবুজের আত্মীয়দের বাড়িতে যেয়ে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন। জেসমিন গত ২ মার্চ রাতে সন্ত্রাসীদের নিয়ে সবুজের বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর চালান।
সবুজ জানান, জেসমিনের একাধিক স্বামী রয়েছে। বর্তমানে তিনি প্রাক্তণ স্বামীর সাথে বসবাস করছেন। মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত তিনি। এসব বিষয় জানতে পেরে তাকে তালাক দিয়েছেন।
জেসমিনের দাবি অনুযায়ী নিজের প্রাইভেটকার তাকে দিয়ে দিয়েছেন দাবি করেছেন এস আই সবুজ। এখন তিনি জমি লিখে দিতে বলছের। না দেয়ায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহল ও বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দিচ্ছেন। আদালতে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন। এখন সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান সবুজ।
এসব বিষয়ে জেসমিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, তার আগের স্বামীকে ছেড়ে সবুজকে বিয়ে করেছেন তিনি। কিন্তু সবুজ তার ওপর অত্যাচার করেন। অন্যত্র বিয়েও করেন। তিনি সবুজের গাড়ি কিনেছেন। কিছু জমিও কিনেছেন। কিন্তু তা দখলে নিতে দিচ্ছেন না সবুজ।