এই কঠোর লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া, সব ধরণের অফিস আদালত, গণপরিবহন, দোকানপাট, মার্কেট সব কিছুই বন্ধ থাকবে। সবকিছু কঠোর লকডাউনের আওতাধীন থাকবে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়াতে এর বিকল্প দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ কমানোর জন্য গত ২৯ মার্চ ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। সেটির আলোকেই ৪ এপ্রিল আরেকটি প্রজ্ঞাপন আমরা দিয়েছি। যাতে মানুষ ঘরের বাইরে না আসে। তারা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, আরো কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিলো। সেই আলোকেই এখন পর্যন্ত চলছে।
তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কথা চিন্তা-ভাবনা করে গতকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেছেন, আমরা মানুষের জীবন বাঁচাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আগামী ১৪ তারিখ থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন দিতে যাচ্ছি আমরা।
তিনি জানান, জরুরি সেবা ছাড়া, সব ধরণের অফিস আদালত, গণপরিবহন, দোকানপাট, মার্কেট সব কিছুই বন্ধ থাকবে। সবকিছু কঠোর লকডাউনের আওতাধীন থাকবে। শিল্প-কারখানাগুলোও বন্ধ থাকবে। মানুষ যে যেখানে আছেন, সেখনেই থাকবেন।
ফরহাদ হোসেন আরো বলেন, মানুষকে ঘরে থাকতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে আসতে পারবে না, এটা এবার নিশ্চিত করা হবে। সবাইকে সংযত আচরণ করতে হবে। পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত সুবিবেচনার সঙ্গে নিতে হবে। আর একটি মানুষও যাতে সংক্রমিত না হন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে সবাইকে ঘরে থাকবে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগের সিদ্ধান্ত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বহাল আছে। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার বিষয়ে একটি নির্দেশনা আছে। নতুন সিদ্ধান্ত ১৪ তারিখ থেকে কার্যকর হবে। সেক্ষেত্রে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন দিয়ে দেব, সেখানে বিস্তারিত থাকবে। রোববারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন হতে পারে।