শুক্রবার বিকাল চারটার দিকে অভিযান চালিয়ে ঠাকুর বাড়ি থেকে পূণ্যার্থীদের সরানো হয়। কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রথীন্দ্র নাথ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইউএনও রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে বারুনী স্নান ও মেলা স্থগিত করে স্থানীয় প্রশাসন ও ঠাকুর বাড়ি। কিন্তু করোনা মহামারী ও স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে সূর্য ওঠার সাথে সাথে ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়িতে হাজির হন লক্ষাধিক মতুয়া ভক্ত। এ সময় তারা কামনা ও বাসনা সাগরে (বড় ধরনের পুকুর) স্নান করে বিগত দিনের পাপ মোচন, পুণ্যলাভ ও আগামী দিনের সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করেন।
পুণ্যস্নানে অংশ নেয়া ভক্তরা মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধিসহ সরকারি নির্দেশনা না মানায় তাদের ওড়া-কান্দির ঠাকুর বাড়ি ছেড়ে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়। এ সময় ভক্তরা নির্দেশনা মেনে ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়ি ছেড়ে যান।
শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ইংরেজি ১৮১১ খ্রিষ্টাব্দ ১১ই মার্চ কাশিয়ানী উপজেলা সাফলীডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার অলৌকিত্বতের জন্য লীলা তীর্থভূমিতে পরিণত হয় ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়ি। এরপর থেকেই শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে দুই’শ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়িতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ বারুনী স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঠাকুর বাড়ির সদস্য ও কাশিয়ানী উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর বলেন, এ বছর বারুণী স্নানোৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে না, সে কারণে ভক্তদের ঠাকুর বাড়িতে আসতে নিষেধ করা হয়েছিলো। কিন্তু, তাদের শত অনুরোধ উপেক্ষা করে লক্ষাধিক মতুয়া ভক্ত ওড়াকান্দিতে ঠাকুর বাড়িতে স্নান উৎসবে মেতে ওঠে। পরে স্থানীয় প্রশাসন ভক্তদের ওড়াকান্দির ছেড়ে যারা নির্দেশ দিলে তারা ছেড়ে যান।