শনিবার সকালে উপজেলার মাহামুদপুর ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাহামুদপুর খানপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, দুলাল সরদার (৭০), ইদ্রিস রাড়ি (৩০), মজিবর মোল্লা (৫৭), মামুন (২৪), মানিক (২২), লিটন মাদবর (৩৫), বাবুল মাদবর (৪৫), মেম্বার হারুন অর রশিদ (৪০), আনছের সরদার (৫৫), রাসেল সরদার (২৫), জাহাঙ্গীর সিপাই (৪০), শিল্পী বেগম (৩০), ফজলু মুন্সী (৩৮), এবাদুল খা (৩০), আনোয়ার হোসেন (৩৯), ইয়াছিন (৩৫), লিয়াকত খান (৬৫), পান্নু খান (৫৫), ও রাজা খানের (৬০) নাম পাওয়া গেছে।
আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাজা খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি মাহামুদপুর খানপাড়া গ্রামের গফুর খার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে মেয়েদের নাচের ভিডিও ও ছবি মুঠোফোনে ধারণ করেন স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আছালউদ্দিন সরদারের কিছু লোকজন। ছবি তুলতে নিষেধ করায় গফুর খার লোকজনের সঙ্গে আছালউদ্দিন সরদারের লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে এ বিষয় নিয়ে মাহাদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আছালউদ্দিন সরদার, কালাম ব্যাপারী সমর্থকদের সঙ্গে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পন্নু খান, লিয়াকত খান সমর্থকদের মারামারি হয়। তখন চারজন আহত হয়।
উক্ত বিষয় নিয়ে আজ শনিবার সকালে মাহাদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আছালউদ্দিন সরদার, কালাম ব্যাপারী সমর্থকদের সঙ্গে পন্নু খান, লিয়াকত খান সমর্থকদের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে দুইপক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। এসময় বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহতদের সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। গুরতর আহত অবস্থায় রাজা খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের আহত লিয়াকাত খান বলেন, এ ঘটনায় আমরা সম্প্রতি মামলা করেছিলাম। মামলা তুলে নিতে আছালউদ্দিন সরদার, কালাম ব্যাপারীরা চাপ প্রয়োগ করে। মামলা না তোলায় পুনরায় আজ আমাদের মারধর করে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে।
মেম্বার আছালউদ্দিন সরদারের সমর্থক আহত মজিবর মোল্লা বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লিয়াকত খানের লোকজন আমাদের মারধর করেছে। আমাকেও মারধর করে আহত করেছে।
মাহামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান ঢালী জানান, পূর্বের ঘটনায় আমরা এলাকায় বসে মিমাংসা করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। আজ আবার বড় ধরনের সংঘর্ষ বাধে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, আগের মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আজকের ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।