বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম ও নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ অংশ নেন।
বৈঠক শেষে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন হলেও শিল্প কারখানা চলবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমাদের নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, লকডাউনে শিল্প কারখানা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। মানুষের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়া ব্যাংক বন্ধ থাকতে পারে। তাতে আমদানি-রফতানিতে সমস্যা হবে। এ বিষয়েও পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
অবশ্য সরকার এ বিষয়ে এখনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি।
এর আগে রোববার সকালে লকডাউনে পোশাক ও বস্ত্র কারখানা খোলা রাখার দাবি জানায় তৈরি পোশাক খাতের চার সংগঠন- বাংলাদেশ পোশাক রফতানিকারক ও মালিক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমইএ) ও এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি)।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান সংগঠনগুলোর নেতারা।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ‘গার্মেন্টস কারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে না রাখা হলে রফতানি বাজার হারাবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে সংকট তৈরি হতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘আগামী ১৪ তারিখ থেকে দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। তবে এই লকডাউন কর্মসূচিতে পোশাক খাতকে বাইরে রাখার আবেদন জানাচ্ছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, পোশাক খাতের বর্তমান বাস্তবতা চিন্তা করে গার্মেন্টস কারখানাগুলোকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা জরুরি।