মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান। হেফাজত আমির বলেন, আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যু নিয়ে পিবিআই যে রিপোর্ট দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বাস্তবতা বিবর্জিত। আমরা মনে করি, এই প্রতিবেদন একটি চিহ্নিত চক্রের শেখানো বুলি। আমরা আমাদের আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতে এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি পেশ করবো। এই মিথ্যা রিপোর্টের ভিত্তিতে যাদের নামে মামলা করা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। এরপরও নতুন করে আমাকে সহ আরও ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এই মামলা ডাহা মিথ্যে। এর কোন বাস্তবতা নেই। চট্টগ্রাম মেডিকেলের ছাড়পত্র ও ঢাকা আসগর আলী হসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেটসহ নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রমাণের আলোকে দেশ-বিদেশের সকলের নিকট প্রমাণিত হয়েছে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু আল্লাহ তায়া’লার হুকুমে স্বাভাবিক ছিলো। তিনি অনেকদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। রোগ বেড়ে যাওয়ায় একাধিকবার তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সর্বশেষ আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি মহান রবের ডাকে সাড়া দেন।
বাবুনগরী বলেন, আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর মৃত্যুর পর তাঁর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ ব্যাখ্যামূলক বিবৃতির মাধ্যমে বাস্তব সত্য মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেছিলেন। তার বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছিল বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন। এরপরও আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর প্রায় দুই মাস পর দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের নামে মামলা দায়ের হওয়াতেই বুঝা যায় এই মামলা কতটা হাস্যকর ও ভিত্তিহীন।
বিবৃতিতে পুনরায় এ প্রতিবেদনের নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।