খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির একটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার খবর দিয়েছে। এ হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে। তবে এ হামলায় কেউ হতাহত হননি। জাহাজটির চলাচলও অব্যাহত। তবে জাহাজটি ‘হালকা ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে।
এদিকে তেহরান তাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে এর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে। এর প্রতিশোধ নেওয়ারও হুমকি দেয়। নাতাঞ্জে হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এর সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে ইঙ্গিতও দেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান আবিব কোচাভি। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তার দেশের অভিযান শত্রুদের কাছে অজানা নয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, হামলার ঘটনা তারা শুনেছেন।
শিপ-ট্রাকিং সাইট মেরিন ট্রাফিক জানিয়েছে, বাহামাসের পতাকাধারী হাইপেরিয়ন রে জাহাজটি কুয়েত থেকে আরব আমিরাতের ফুজায়রা বন্দরে যাচ্ছিল। জাহাজটি গাড়ি আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাত অবশ্য এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
গত ফেব্রুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওই এলাকাতেই ইসরায়েলের আরেকটি জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে। ইসরায়েল অবশ্য এসব হামলার জন্য বরাবরই ইরানকে দায়ী করে আসছে।