দেশটিতে শরণার্থী অনুমোদনের ক্ষেত্রে উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিই বহাল রাখলেন তিনি। ফলে, প্রতিবছর ১৫ হাজার শরণার্থী অনুমোদন পাবে দেশটিতে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এ–সংক্রান্ত একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন বাইডেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, দুই মাস আগে ট্রাম্পের শরণার্থী নীতিতে পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাইডেন। শরণার্থী অনুমোদনের সংখ্যা প্রতিবছর ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৬৫ হাজার করার কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসে ট্রাম্পের নীতিতেই রইলেন তিনি।
ফলে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ ১৫ হাজার শরণার্থী অনুমোদন পাবেন। বাইডেন নতুন পরিকল্পনায় দেখা গেছে, আফ্রিকা থেকে সাত হাজার, পূর্ব এশিয়া থেকে এক হাজার, ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া থেকে দেড় হাজার, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল থেকে তিন হাজার, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়া থেকে দেড় হাজার এবং অনির্ধারিত অঞ্চল থেকে এক হাজারজনকে নির্ধারণ করা হয়েছে। শরণার্থী অনুমোদন মাত্র ১৫ হাজারে রেখে দেওয়ায় পরামর্শক সংগঠনগুলো ধাক্কা খেয়েছে। তাদের ধারণা ছিল, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের শরণার্থী নীতি পরিবর্তনে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট।
এ নিয়ে বাইডেন প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়লে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, এ অর্থবছরের অবশিষ্ট দিনগুলোর জন্য আগামী ১৫ মে ‘চূড়ান্ত ও বর্ধিত’ শরণার্থী অনুমোদনের সংখ্যা ঘোষণা করা হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী–ঢলের মধ্যে আরও মানুষের অনুমোদন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ফলে, বছরে শরণার্থী অনুমোদনের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করলেন না তিনি। প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর আট কোটি শরণার্থী তৈরি হয়, যার ৮৫ শতাংশকেই আশ্রয় দিতে হয় উন্নত বিশ্বকে।
শরণার্থী অনুমোদন মাত্র ১৫ হাজারে সীমাবদ্ধ করে দেওয়ায় পরামর্শক সংগঠনগুলো ধাক্কা খেয়েছে। তাদের ধারণা ছিল, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের শরণার্থী নীতি পরিবর্তনে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট।