শনিবার এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, বকেয়া মজুরির দাবিতে সমাবেশরত নিরীহ শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ একটি গর্হিত অপরাধ ও গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য লজ্জাকর। যেখানে জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কাজ, সেখানে এমন নির্মম ও অবিবেচনাপ্রসূত হত্যাকাণ্ড ক্ষমতার অপপ্রয়োগ এবং চরম অনাচারের শামিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, করোনা মহামারির এ দুর্যোগে শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকা যেখানে এমনিতেই দুর্বিষহ, সেখানে মজুরি না দেওয়া শ্রম আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এস আলম গ্রুপের মতো ধনী শিল্পগোষ্ঠী কেন শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ করেনি, তার যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
বিবৃতিতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, হামিদা হোসেন, আকমল হোসেন, সুলতানা কামাল, আলী ইমাম মজুমদার, আনু মুহাম্মদ, খুশী কবির, হোসেন জিল্লুর রহমান, ইফতেখারুজ্জামান, শাহীন আনাম, শহিদুল আলম, শামসুল হুদা, পারভীন হাসান, সি আর আবরার, সারা হোসেন, রেহনুমা আহমেদ, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আদিলুর রহমান খান, আসিফ নজরুল, রোবায়েত ফেরদৌস, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, জোবায়দা নাসরিন, নূর খান, মাহা মির্জা, আহমেদ কবির কিশোর প্রমুখ সই করেন।
এদিকে এ ঘটনার নিন্দা এবং তদন্ত ও বিচারের দাবিতে শনিবার বিবৃতি দেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), নাগরিক ঐক্য, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ), বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল, গণসংহতি আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এসএসএফ) ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন।