ওই ছাত্রীর পিতার দায়ের করা মামলায় তার কর্মস্থল মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি শ্যামনগর উপজেলার শ্রীফলকাটি গ্রামের শওকত গাজীর ছেলে ও কালিগঞ্জের পাউখালি মাহবুবা রাজ্জাকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার শিক্ষক। থানার উপপরিদর্শক ছেলিম রেজা জানান, হাফেজ আব্দুল মজিদ শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর মহিলা মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কালিগঞ্জের পাউখালি মাহবুবা রাজ্জাকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় নিয়ে আসে । এরপর রাত ৯ টার দিকে ওই ছাত্রীকে শিক্ষকের শয়ন কক্ষে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরদিন ১৮ এপ্রিল সকালে ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসা থেকে বের করে মোটরসাইকেল যোগে কালিগঞ্জের গড়ের হাট নামকস্থানে নামিয়ে দিয়ে আসে এবং বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাত ১০ টার দিকে মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হুসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আসামিকে বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।