প্রতি বছর অষ্টমী তিথিতে ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারীতে অষ্টমীর স্নান শেষে রাজারহাট ও লালমনিরহাট সীমান্তবর্তী এলাকায় রাম নবমী তিথিতে সিন্দুরমতী দিঘীর জলে দেশ-বিদেশের অর্ধলক্ষাধিক পুণ্যার্থী স্নানে অংশ নেয়। অন্যান্য বছর স্নান উপলক্ষে দিঘীর চারদিকে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার মেলা বসে। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে চলা লকডাউনে লালমনিরহাট সদর ও রাজারহাট উপজেলা প্রশাসন থেকে অষ্টমীর স্নান ও মেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
তবে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাত থেকে সিন্দুরমতী এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। ভোর শুরুর সাথে সাথে স্নান করে পুণ্যার্থীরা। কয়েকশ’ বছর ধরে সনাতন ধর্মালম্বীরা রামনবমী তিথিতে স্নান করে আসছে।
স্নান উৎসবে যোগ দেয়া পুণ্যার্থীরা বলেন, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ব্রক্ষপুত্র নদে অষ্টমী স্নান শেষে রামনবমী তিথিতে পুণ্যস্নান করলে পাপমোচন হয়। তাই আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনে স্নান করতে এসেছি।
পূজা উদযাপন কমিটির আয়োজক মনোরঞ্জন দেব সিংহ বলেন, করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় স্বল্প পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলীর পুণ্যার্থীরা সিন্দুরমতী দিঘীতে স্নান উৎসব করেছে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ আলম সরকার ও রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজু সরকার বলেন, উভয় থানার পুলিশের টহল টিম কাজ করছে। এর মধ্যে যারা সামনে পড়ছেম তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও যেখানে বেশি মানুষ সমাবেত হচ্ছে, আমরা খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ সেখানেই যাচ্ছে। সকলকে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। মেলায় দোকানপাট বসালেও তুলে দেয়া হয়েছে।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম বলেন, করোনা মহামারীর কারণে এ বছর সিন্দুরমতী দিঘীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্নানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিছিন্নভাবে স্নান উৎসবে অংশ নিয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশকে কঠোর অবস্থানে থাকার নিদের্শ দেয়া হয়েছে।