ইহসানুল করিম বলেন, ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকরা বরাদ্দকৃত অর্থের অংশ পাবেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং প্রাণহানি- উভয় ক্ষেত্রেই ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী সীমিত আকারের লকডাউন আরোপ করে। সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শেষে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে আরও এক সপ্তাহের নতুন লকডাউন কার্যকর করে এবং পরে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এটি বাড়ানো হয়। ১৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী চলমান করোনাভাইরাস মহামারি এবং সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৩৬ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৩৬ লাখ পরিবারে মধ্যে ৩৫ লাখ পরিবার স্বল্প আয়ের যারা বিভিন্ন পেশায় জড়িত থাকলেও বর্তমান করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকি এক লাখ পরিবার কৃষক যারা সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত। ৩৫ লাখ পরিবারকে নগদ সহায়তা হিসেবে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং কৃষকদের এক লাখ পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
কোভিড-ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন-আয়ের পরিবারের জন্য বরাদ্দ ৮৮০ কোটি এবং দুর্যোগ-ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকায় ৩৬ লাখ পরিবারের মধ্যে নগদ বিতরণে সরকার মোট ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয় করবে।