টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
গরীবের কষ্ট লাঘবে ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছানোর দাবি

গরীবের কষ্ট লাঘবে ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছানোর দাবি

লকডাউনে গরীব-কর্মহীন মানুষের কষ্ট লাঘবে ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর দাবি জানিয়েছেন ‘লকডাউনে মানুষের হাহাকার বন্ধে ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছাও’ ব্যানারে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি থেকে তারা এ দাবি জানান। অবস্থান কর্মসূচিতে অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি প্রত্যেক দিন খারাপ হচ্ছে। এখন এ পরিস্থিতিতে মানুষের সঞ্চয় যা ছিলো, তা ফুরিয়ে গেছে। কর্মহীন মানুষের অবস্থা খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গরীব মানুষদের জন্য সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হিসাব মতে, কমপক্ষে আমাদের দেশে এখন ৫ কোটি গরীব লোক আছে। সাড়ে ১০ কোটি টাকার ভাগ করলে তারা ২ টাকা করে পাবে।

রেজা কিবরিয়া সরকারের কাছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করার প্রস্তাব রেখে বলেন, প্রতিদিন ৫ কোটি গরীব মানুষকে ৫০ টাকা করে দেয়া হোক। মনে হচ্ছে আমরা গরীব দেশে, এটা কীভাবে সম্ভব। ৫ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা নেয়া খুব বেশি না। আর এটা তো শখের কোনও সেতু বা জাদুঘরের জন্য না। এটা হলো মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য। এটা করা উচিত। এ সহায়তা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে অব্যাহত রাখতে হবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এ দেশের সোয়া দুই কোটি দরিদ্র মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। এতে প্রতিটি পরিবার সোয়া চার টাকা করে পাবে। এ টাকা দিয়ে মানুষ কি কিনতে পারবে? একটি বা দুটো পেঁয়াজু। সাধারণ অসহায় মানুষদের সঙ্গে এ জাতীয় মশকরা করছেন প্রধানমন্ত্রী? ওনাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলতে চাই, এই মশকরার দিন ফুরিয়ে আসবে। আমাদের একসঙ্গে এ সরকারের শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আসলে ভোট ডাকাতের সরকার কখনও জনগণের হতে পারে না।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, করোনার শুরুর দিকে সরকার বলছে, ৪৫ হাজার পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে দেবে। এ ঘোষণার এক বছর পার হয়ে গেলো, সে টাকা এখন পর্যন্ত দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, এই ৪৫ হাজার পরিবারকে টাকা দেয়ার পদ্ধতি কী? তা এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে হবে। এক লক্ষ দুস্থ কৃষক পরিবারকে সাহায্য করা হবে। সাহায্য করার পদ্ধতি এবং ডাটাবেজ কী হবে, এসব প্রশ্নের উত্তরও দিতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, জনসংহতি আন্দোলনে প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজীজ, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য রাখার রাহা প্রমুখ।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital