প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, মেক্সিকো ও পোল্যান্ডে তাদের নকল টিকা বিক্রি হচ্ছে। সেসব টিকা বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার ডলার করে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২ লাখ ১১ হাজার টাকার বেশি। বার্তা সংস্থা এএফপির খবর।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মেক্সিকোর একটি ক্লিনিক থেকে ৮০ জন মানুষ টিকা নেন। মূলত ফাইজারের নামে নকল টিকা দেওয়া হয় তাঁদের। এসব টিকা প্রাণঘাতী করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে না।
মেক্সিকো সরকারের কোভিড-বিষয়ক মুখপাত্র হুগো লোপেজ-গাটেল বলেন, এসব টিকায় করোনা প্রতিরোধ করতে পারে, এমন কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হুগো লোপেজ-গাটেল আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব নকল টিকা বিক্রি করা হচ্ছিল। একটি টিকার মূল্য রাখা হয়েছিল আড়াই হাজার ডলার পর্যন্ত। সাইবার পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ জানায়, পানীয় ঠান্ডা রাখার যন্ত্রের মধ্যে এসব নকল টিকা রাখা হয়েছিল। এসব টিকার গায়ে ইচ্ছেমতো নম্বর দেওয়া হয়েছিল।
ফাইজার জানিয়েছে, পোল্যান্ডেও নকল টিকা জব্দ করা হয়েছে। প্রসাধনীর উপাদান ভরে দেওয়া হয়েছিল এসব টিকায়।
এবিসি নিউজকে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, কোভিড-১৯ চিকিৎসা ও টিকা নিয়ে জালিয়াতি, প্রতারণা ও অবৈধ কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইনে পরিচয় গোপন করে ই-কমার্সের সুবিধা ও সহজলভ্যতাকে কাজে লাগিয়ে এসব নকল টিকা বিক্রি হচ্ছে।