জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ শিবলী সাদিক বাংলাদেশ জার্নালকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গণপরিবহন চালু করার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় গণপরিবহন চালু সম্ভব হচ্ছে না।
এর মধ্যে গতকাল রোববার থেকে দোকানপাট-শপিংমল খুলে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর কথাও জানানো হয় তখন।
এদিকে, সোমবার বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে চলমান বিধিনিষেধ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তিনি আরো বলেন, রাত ৮টা পর্যন্ত শপিংমল খোলা থাকবে। মানুষকে অবশ্যই কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমলে যেতে হবে। তবে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত শুক্রবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল হতে পারে। তবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং নো মাস্ক নো সার্ভিস নিশ্চিত করা হবে। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সীমিত বিধি-নিষেধ দেয়া হলেও তা খুব একটা কার্যকর হয়নি। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। এটি কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধিনিষেধে বলা হয়, অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। পরে চলমান পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।