বৈঠকে রাজা রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। এছাড়া রাষ্ট্রদূত রাজাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই যে গুটিকয়েক রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল স্পেন তার মধ্যে অন্যতম। তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দ্রুত বেগে এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা ব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত তাদের স্বদেশ ভূমি মিয়ানমারে সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে স্পেন সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত সম্ভাবনার নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
তিনি স্পেনে বাংলাদেশের রফতানি বৃদ্ধি ও বাংলাদেশে স্প্যানিশ বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য রাজার সহযোগিতাও কামনা করেন। রানী সোফিয়ার বাংলাদেশে কয়েকবার ভ্রমণের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মহামহিম রাজাকে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান।
স্পেনের রাজা রাষ্ট্রদূতের উত্থাপিত বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি রাষ্ট্রদূতের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তার দায়িত্ব পালনকালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বেগবান হবে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দানের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আগামীতে বাণিজ্য আরো নিবিড়তর হবে। স্পেনের রাজা রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একান্ত এ বৈঠকে স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।