মামলাসূত্রে জানা গেছে, দুই কিশোরীর একজন (১৪) ঢাকায় পোশাক কারখানায় যোগ দিতে স্থানীয় টমটম চালক আবুল কালামের টমটমে সুনামগঞ্জের চাঁনপুরবাজার বাসস্ট্যান্ডে আসে। তার সাথে থাকা অপর কিশোরী ঢাকায় বাবা-মায়ের কাছে ফিরছিল। তারা গাড়িতে থাকা অবস্থায় টমটম চালক তার বন্ধু আলমগীরকেও টমটমে উঠিয়ে নেয়।
নির্দিষ্ট গন্তব্যে এসে ওই দুই কিশোরী গাড়ি থেকে নামার সময় চালক আবুল কালাম জানান- ঢাকামুখী বাস বন্ধ, তাদের গ্রামের দিকে ফিরে যেতে হবে। বাড়ি ফেরার পথে টমটমে থাকা চালকের বন্ধু আলমগীর দুই কিশোরীকে জুসপান করান।
জুসপানে তারা ধীরে ধীরে শরীরিক ভারসাম্য হারিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের নিকটবর্তী হাওরের পাশের একটি ক্ষেতে নিয়ে চালক ও তার বন্ধু তাদের ধর্ষণ করে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ফেলে চলে যান।
রাত ১১টার দিকে গ্রামের এক কৃষি শ্রমিক ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাদের দেখতে পেয়ে পরিবারে খবর দেয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসায় জ্ঞান ফেরে ওই দুই কিশোরীর। তারা ধর্ষণের বিষয়ে পরিবারের লোকজন ও থানা পুলিশকে জানায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম সংবাদমাধ্যমকে জানান, অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।