আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের বেশ কয়েকজন মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রায় ১০০ জনের মতো সৈন্য ও সামরিক সরঞ্জাম উড়োজাহজে করে যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া হয়েছে। সিএনএন।
সৈন্যদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ঠিকাদার ও সরকারি কর্মীরাও আফগানিস্তান থেকে চলে যাচ্ছেন। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। তবে প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
আফগানিস্তানে দুই হাজার ৫০০ স্বীকৃত সৈন্য রয়েছে। এর বাইরেও বিশেষ অভিযানে অংশ নেয়া কয়েকশ সৈন্য রয়েছে, যা স্বীকৃত না। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশমতো সব সৈন্যই দেশে ফিরবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে জানান, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের দীর্ঘদিনের যুদ্ধ-সংঘাতের অবসান চান তিনি। তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনাকে সরিয়ে নেয়া হবে।
তবে সব সেনাকে সরিয়ে নিলেও আফগানিস্তানকে সব ধরনের সমর্থন দিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। তবে দেশটিতে আর সামরিক সহায়তা দিতে চান না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। নাইন-ইলেভেনের পর ২০০১ সালে ওই স্থান থেকেই তালেবানদের উৎখাত করতে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা মোতায়েন এবং বিমান হামলার ঘোষণা দেয়া হয়।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইট টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার ২০ বছর পূর্তি। ওই হামলাকে কেন্দ্র করেই তালেবানদের উৎখাত করতে আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছর ধরে মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন সরকার ঘোষণা দেয়, তালেবান যদি তাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট আফগানিস্তান থেকে পরবর্তী ১৪ মাসের (২০২১ সালের মে) মধ্যে সকল সেনা প্রত্যাহার করে নেবে।