সরাসরি লকডাউন ঘোষণা না করলেও শুক্রবার সন্ধ্যায় এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নির্দেশনায় ওষুধ বা মুদির দোকান খোলা থাকলেও অন্যান্য দোকানপাট এবং বাজার সকাল এবং বিকেলে কিছু ক্ষণের জন্য খোলা রাখা যাবে। সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশের অমান্য করলে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, শুধুমাত্র সকালে ৭টা থেকে ১০ পর্যন্ত হাট-বাজার খোলা থাকবে এবং বিকেলে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। যদিও ওষুধের দোকান এবং মুদির দোকানের মতো জরুরি পরিষেবা এই নির্দেশিকার আওতার বাইরে থাকছে। সিনেমা হল, শপিং মল, বিউটি পার্লার, রেস্তরাঁ, বার, ক্রীড়াঙ্গন, জিম, স্পা এবং সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বন্ধ থাকলেও হোম ডেলিভারি এবং অনলাইন পরিষেবায় অনুমোদন রয়েছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা এবং বিনোদনমূলক সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অনেকেই মনে করছেন, ২ মে নির্বাচনের ফলাফলের পর রাজ্য আরও বেশি কড়াকড়ি আরোপ করবে। প্রয়োজন হলে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার জন্য নাইট কার্ফুও জারি করা হতে পারে।