সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সহ শিক্ষক উপর অতর্কিত হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর এর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধার দামান,জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম(বিএসসি) বাদী হয়ে উপজেলা সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের আমজদ আলীর ছেলে আজহারুল(২৫) ও একই গ্রামের ছুরত আলী ছেলে আজমল আলী (২৩) সহ ৩-৪জন গংদের অভিযোগ করে তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১মে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর পাশ্ববর্তী ফার্মেসীর সামনে ভাড়াটি মটরসাইকেলটি রেখে,চিকিংসার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে যান। বিবাদীগন পশ্চিম দিক থেকে ট্রলি ভর্তি খড়কুটো নিয়ে বেপরোয়া গতিতে পূর্ব দিগে যাচ্ছিল,প্রতি মধ্যে রেখে যাওয়া মোটরসাইকেলে ট্রলি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ভাঙচুর করে চলে যাচ্ছিল।
বিষয়টি দেখে শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এগিয়ে যান,এবং বিষয়টি জানতে চাইলে বিবাদীরা ক্ষেপে যায়,কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বিবাদীরা শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এর উপর এলোপাতাড়ি ভাবে কিল ঘুসি, লাতি শুরু করেন। এসব দেখে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও স্বাক্ষী আলী হাসান চিৎকার দিয়ে এগিয়ে আসেন উনাদের উপর কিল ঘুসি মারে এবং উনার চিৎকার ও ক্রন্দনের আওয়াজ শুনে পাশ্ববর্তী লোকজন এসে শিক্ষককে উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী’ গাড়ির ড্রাইভার আলী হাছান মিয়া বলেন, এমন আচরণ আমার জীবনে দেখিনি। এসব ব্যবহার যদি হয়। তাহলে দূরদূরান্ত থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিংসা নেবে কি ভাবে। যদি মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আর শিক্ষকেই নিরাপদ ভাবে চিকিংসা নিতে’ না পারেন। তবে সাধারন মানুষ কি ভাবে মানসম্মান রক্ষা করবে! স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিবাদীগন উশৃংখল,উগ্রপন্থী,ঝগড়াটে লোক বটে। এঁরা প্রায় সময় এলাকায় ঝগড়া করেই তাকে।
শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার খবর শোনে, সুনামগঞ্জ জেলা বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম এর সভাপতি সুনামগঞ্জ জেলার সভাপতি মোদাছির আলম,তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আঃ লতিফ তরফদার এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আর বলেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে। তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন,যারা শিক্ষকের উপর হাত তুলতে হাত কাঁপে না তারা অমানুষ । তদন্ত সাপেক্ষে,তাদের বিরোদ্ধে আইন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।