গত একদিনে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৫২৩ জন। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ লাখ ১১ হাজার ৮৫৩ জনে। শনিবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশটিতে হাসপাতাল শয্যার পাশাপাশি অক্সিজেনের অভাব প্রকট হয়েছে। এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩২ লাখ ৬৮ হাজার ৭১০ জন।
প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, করোনার চলমান পরিস্থিতির মধ্যে চলছে টিকাদান কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে গণটিকাদান শুরু করেছে সরকার। যদিও কয়েকটি রাজ্যে টিকার যথেষ্ট মজুদই নেই। ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনের ঘাটতির কারণে মুম্বাই শহরের সব টিকাদান কেন্দ্র তিনদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দিল্লিতে টিকার মজুদ না থাকায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল আগে থেকেই অহেতুক কাউকে টিকাকেন্দ্রের বাইরে লাইন না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
রয়টার্স বলছে, দেশটিতে মে মাসের তিন থেকে পাঁচ তারিখ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সর্বোচ্চ হতে পারে জানিয়ে ভারত সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলছেন, সংক্রমণের হার দৈনিক ১০ হাজার থাকার সময় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে মনে করে আত্মতুষ্ট হয়েছিল ভারত। বিধিনিষেধ তুলে উৎসব এবং রাজনৈতিক সমাবেশের অনুমোদন দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।