আজ রোববার ঢাকা সিএমএম আদালতে নিহত মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান এ মামলার আবেদন দায়ের করেন। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল গুলশান-২-এর একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করেন। ওই মামলা তদন্তাধীন থাকাবস্থায় আরেকটি মামলার আবেদন করা হলো।
আজ ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশে বলেছেন, যেহেতু একই ঘটনায় আগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা তদন্তাধীন। পরবর্তীতে একই বিষয়ে এ মামলার আবেদন দায়ের করা হয়েছে। তাই পূর্বের মামলার কার্যক্রম শেষ না পর্যন্ত এ মামলার সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
মামলার আবেদনে বলা হয়, মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনায় অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাদী বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশনের মাধ্যমে জানতে পারেন, শাহরুনের সাথে মুনিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শাহরুন গুলশানের বাসায় গিয়ে মুনিয়াকে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখেন।
মোসারাত জাহান মুনিয়ার বাড়ি কুমিল্লা শহরে। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। মুনিয়ার পরিবার কুমিল্লায় থাকে। ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন। বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরই মাসিক লাখ টাকার অধিক ভাড়ায় ওই ফ্ল্যাট তাকে ভাড়া করে দিয়েছিলেন।