টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
ধর্মপাশায় ভিজিডির চাল খাদ্যগুদাম থেকেই ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে

ধর্মপাশায় ভিজিডির চাল খাদ্যগুদাম থেকেই ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডধারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৩০ কেজি ওজনের চাউলের বস্তায় ২৬-২৭ কেজি করে চাউল দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল রবিবার দুপুরে ওই খাদ্যগুদাম থেকে উপজেলার সুখাইর- রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডধারীদের জন্য বরাদ্দকৃত চাউল ডেলিভারী  দেওয়ার সময় স্থানীয় দুইজন সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব লিটন মিয়া ডেলিভারীকৃত ৩০ কেজি ওজনের ৫টি বস্তা মিটারের মাধ্যমে ওজন করলে প্রত্যেকটি বস্তাতেই আড়াই কেজি থেকে ৩ কেজি করে চাউল কম থাকার সত্যতা পাওয়া যায় এবং এ বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়েছে। তবে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা কর্মস্থলে না থাকলেও এসময় খাদ্যগুদামের দুইজন অফিস সহকারি ও লেবার সর্দারসহ তার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এব্যাপারে ইউপি সচিব লিটন মিয়া বলেন, উপজেলার সুখাইর- রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে মোট ৯৩ জন হত-দরিদ্র কার্ডধারী রয়েছেন। প্রতি মাসে তাদের প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৩০ কেজি ওজনের এক বস্তা করে চাউল দিয়ে আসছিলাম। তবে ওইসব কার্ডধারীদের জন্য প্রতি মাসে খাদ্যগুদাম থেকে ওজন না দিয়েই ৩০ কেজি ওজনের ইনটেক বস্তা দিয়ে দেন এবং গুদাম থেকে আমাদেরকে যেভাবে দেওয়া হয় আমরা সেভাবে ওইসব বস্তা কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করি। তবে ওইসব চালের বস্তায় যে, আড়াই থেকে ৩ কেজি করে চাল ওজনে কম দেয়া হতো   ওজন না করলে তা জানতে পারতাম না।আমি বিষয়টি ইউএনও স্যার ও চেয়ারম্যান স্যারকে জানানোর পর সঠিকভাবে ওজন করে চাল সরবরাহ দেয়া হয়েছে।

উপজেলার সুখাইড়-রাজাপুর দক্ষিন ইউপি চেয়ারম্যান আমানুর রেজা চৌধুরী বলেন, গুদাম থেকে চাল ওজনে কম দেয়ার বিষয়টি তাৎক্ষনিক আমার পরিষদের সচিব আমাকে জানিয়েছে। দরিদ্রদের চালের বস্তায় চাল ওজনে কম থাকার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।

উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা নৃপেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, সুখাইড়-রাজাপুর দক্ষিন ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডধারীদের জন্য গুদাম থেকে যে চাল ডেলিভারি দেয়া হয়েছিল তা গত এক বছর আগের মজুতকৃত চাল বিধায় ওইসব বস্তায় চাল ওজনে কিছু কম হয়েছে।তবে পরে ঘাটতি হওয়া চাল পুরণ করে দেয়া হয়েছে।

উপজেলা  খাদ্য নিয়ণ্ত্রক কর্মকর্তার (অতিরিক্ত) দায়িত্বে থাকা বিএম মুশফিকুর  রহমান বলেন, ভিজিডির চালের বস্তায় চাল  ওজনে কম থাকার প্রশ্নই আসেনা। তবে আমি  এ বিষয়ে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাকে সতর্ক করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মুনতাসির হাসান বলেন, খাদ্যগুদাম থেকে ভিজিডির  চাল ওজনে কম দেয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital