ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে ২-০ গোলে জিতেছে সিটি। অর্ধেক কাজটা সেরে এসেছিল নেইমারদের ডেরা প্যারিসেই। সেখানে জিতেছিল ২-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে ফাইনালে উঠল পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
মরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যদের দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে অর্ধশতাব্দীর বিরতির পর ইউরোপীয়ান ক্লাব টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল দলটি।
পিএসজির জন্য কাজটা কঠিন ছিল। আগেই জানা ছিল একাদশে থাকবেন না কিলিয়ান এমবাপ্পে। এ অবস্থায় দলকে ফাইনালে তুলতে সেরা কিছুই করতে হতো মেসির ছায়া থেকে বের হয়ে সেরা হবার স্বপ্ন নিয়ে বার্সা ছাড়া নেইমারকে। কিন্তু পারলেন কই। মাঠে দেড় ঘণ্টা রইলেন নিজের ছায়া হয়ে। বলের দখল হারিয়েছেন সবচেয়ে বেশিবার। পারেননি প্যারিসিয়ানদের স্বপ্ন পূরণ করতেও।
নেইমারের মতো পিএসজির খেলাও হতশ্রী অবস্থা। পুরো ম্যাচে গোলে একটি শট নিতে পারেনি দলটির খেলোয়াড়রা। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে ১০ জনের দলে পরিণত হয় দলটি। ৬৯তম মিনিটের খেলা চলাকালীন বলের দখল নিতে গিয়ে মেজাজ হারিয়ে সিটির অধিনায়ক ফার্নান্দিনিওর পায়ে পা মাড়িয়ে দেন ডি মারিয়া। সরাসরি লাল কার্ড। সিটির সৃষ্টিশীল আর নিয়ন্ত্রণের খেলায় বাকি সময়ে আর লড়াইও করতে পারেনি পিএসজি।
প্রথমার্ধেও দু-দফায় দুই পক্ষের মাঝে একটু উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। লাল কার্ডের সিদ্ধান্তে হাতহাতিও চলে কিছুটা। পরের চার মিনিটে দুই দলের আরও তিনজনকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
শুরু থেকে সিটির উপর চাপ তৈরি করার চেষ্টা করে সফরকারীরা। ষষ্ঠ মিনিটে রেফারি পিএসজির পক্ষে আচমকা পেনাল্টির বাঁশি বাজালেও ভিএআরে সিদ্ধান্ত পাল্টায়। পাঁচ মিনিট পরেই গোল খেয়ে বসে পিএসজি। দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে জোরালো কোনাকুনি শটে কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করেন মাহরেজ। ১১ মিনিটেই এগিয়ে গেল স্বাগতিক দল।
সিটির দুর্দান্ত প্রতিআক্রমণ ঠেকাতে দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটে আরেকবার ব্যর্থ পিএসজির রক্ষণ। ডি ব্রুইনার পা থেকে ফোডেনের পা ঘুরে বল যায় পিএসজির রক্ষণে আনমার্কড মাহরেজ। ম্যাচটি এখানেই প্রায় শেষ করে দেন তিনি। মাহরেজের শট ঝাঁপিয়েও আটকাতে পারেননি নাভাস।
অপেক্ষা এবার ফাইনালের। সিটির স্বপ্নপূরণের লড়াই আগামী ২৯ মে। ফাইনালে প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ অথবা চেলসি।