শুক্রবার দিন গত ভোররাতে হটাৎ কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টিতে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়। উপজেলার নিতাই ইউপি’র মুশরুত পানিয়াল পুকুর বানিয়া পাড়ার বেলতলি ও বাশঁবাড়ি দোলার প্রায় ৫ শতাধিক কৃষকের পাকা ধান শিলাবৃষ্টিতে সম্পূর্ণ মাটিতে ঝরে পড়েছে। এসময় বোরো ধানের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি কৃষকের উঠতি ফসল ভ’ট্রা,কাঁচা মরিচ, সবজি,পাটক্ষেত পাতাশূন্য অবস্থায় মাটির সঙ্গে নুয়ে পড়াসহ শিলাবৃষ্টিতে অনেক অসহায় পরিবারের টিনের ঘর ঝাঝরা হয়ে গেছে। এতে বোরো ধানসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা।
সরেজমিনে নিতাই ইউপি’র মুশরুত পানিয়াল পুকুর বেলতলি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে কৃষকের পাকা/আধা পাকাধান শিলা বৃষ্টিতে ঝরে গিয়ে ধান শুন্য গাছ দাঁড়িয়ে আছে। এসময় অশ্রæসজল নির্বাক ধানক্ষেতে দাঁড়িয়ে থাকা ওই গ্রামের কৃষক শামসুল জানান, তার ৪ বিঘা জমির ধান সম্পূর্ণ শিলাবৃষ্টিতে মাটিতে ঝরে পড়েছে। ধান শূন্য গাছ দেখে তিনি একেবারে মুষড়ে পড়েছে। কাটা মাড়াই করে বিঘা প্রতি ২মন ধান না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আগামীতে পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়বে ।
ওই ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুকের ১৪ বিঘা জমির পাকাধান ঝড়ে পড়েছে। তিনি জানান, যেখানে বিঘা প্রতি ধান হত ৩০/৩৫ মন। এখন সেই জমিতে ধান ৩/৪মন হবেনা। এতে কৃষি শ্রমিকের মজুরি উঠবেনা।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, ৭ হেক্টর বোরোধান ৩ হেক্টর পাটক্ষেত, ৩ হেক্টর জমির সবজি খেতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।