নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে নিহত সুলতান মিয়াকে আজ (৮ মে)সকাল ১১টায় জাহেরপুর ইউনিয়নের নরসিংপুর নদী থেকে তোলা হয়।জহেরপুর স্থান থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে মাছ শিকারী জালে আটকা পরে লাশ।
বৃহস্পতিবার (৬ মে)বিকাল (৫ টায়) আবহাওয়া বিরূপ হলে কিশোরগঞ্জের ইটনা থেকে আসার পথে জহেরপুর ফেরিঘাটে এলাকায় আসলে বজ্রপাতে সুলতান মিয়া তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান।এ সময় নৌকায় অন্য ৪ জন অক্ষত অবস্থায় থাকে। শুধু মাত্র সুলতান মিয়া বজ্রপাতের আঘাতে নৌকা থেকে পানিতে পরে যায়।সুলতান মিয়া একজন দিনমজুর খেটে খাওয়া মাঝি।সে নেত্রকোণা থেকে কিশোরগঞ্জ জল পথে পণ্য পরিবহনের মাধ্যেমে পরিবার চালায়।নিহত সুলতান মিয়া খালিয়াজুড়ি উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন রাত ৯ টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালায় কিন্তু আবহাওয়া বিরূপ হওয়ায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখে। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম বজ্রপাতে নিহত পরিবারকে বিশ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা করেন। খালিয়াজুড়ি থানার ওসি জানান,পরিবারের আপত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়।