টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
সালথায় যোগসাজসে খাল ও বাঁওড় খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ!

সালথায় যোগসাজসে খাল ও বাঁওড় খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ!

ফরিদপুরের সালথায় একটি খাল ও একটি সরকারি বাঁওড় পুনঃখননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাল ও বাঁওড় পুনঃখননের নামে যোগসাজসে পৃথক দুটি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে খনন সেন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া হাজিবাড়ি থেকে সোনাপুর ইউনিয়নের চান্দাখোলা পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭শ ৮৬ ঘন মিটার খাল পুনঃখননের জন্য ১৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং ১৬ হাজার ৪৪ ঘন মিটার কাগদী সরকারি বাঁওড়ের একাংশ পুনঃখননের জন্য ১৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় মৎস্য অধিদপ্তর ও মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রæয়ারী প্রকল্প দুটির খনন কাজ শুরু করেন প্রকল্প সভাপতি সালাউদ্দিন খান পান্নু। খনন প্রকল্পের কাজ দুটি ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও এখনও কাজ শেষ হয়নি।

শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চান্দাখোলা বারোপিট খাল খনন কাজ করা হচ্ছে মাত্র একটি বেকু মেশিন দিয়ে। কাজের সাইডে প্রকল্প সভাপতি বা তদারকি কর্মকর্তারা কেউ নেই। খাল খননে ৩ ফিট গভীর করার কথা থাকলেও এক থেকে দেড় ফিট গভীর করে খনন কাজ করা হচ্ছে। আবার খালের অনেক স্থানে খননই করছে না।

খালের দুই পাড়ে বসবাসরতরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের জানা মতে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিক দিয়ে খাল খনন করার কথা। অথচ বেকু মেশিন দিয়ে খনন কাজ করায় বঞ্চিত হচ্ছে শ্রমিকরা। তারা আরো বলেন, খালের দুই পাড়ে এমনভাবে মাটি রাখা হয়েছে, যা বৃষ্টি নামলেই মাটি ধ্বসে পড়ে পুনরায় খাল ভরে যাবে। এদিকে কাগদী বাঁওড়ে খননে গিয়ে দেখা যায়, মাত্র একটি বেকু মেশিন দিয়ে বাঁওড়ের চারদিকে পাড় বাঁধছে। এখানে গভীর করে খননের কোনো চিত্র দেখা যায়নি।

একাধিক সুত্র জানায়, প্রকল্প সভাপতি সালাউদ্দীন খান পান্নু তার প্রভাবশালী এক আত্মীয়’র মাধ্যমে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে লবিং করে বিভিন্ন খাল ও বাঁওড় খননের প্রকল্প এনে লুটপাট করে আসলেও দেখার কেউ নেই। এখনও মৎস্য অধিদপ্তরের কয়েকটি খাল ও বাঁওড় খননের কাজ করছে। সালথায়ও তার দুটি খনন প্রকল্পের কাজ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে যোগসাজস করে লুটপাটের চেষ্টা করছে। তাই খাল ও বাঁওড় পুনঃখননে এভাবে অনিয়ম করছেন তিনি।

খাল ও বাঁওড় পুনঃখননে অনিয়মের বিষয় বক্তব্য জানতে চাইলে প্রকল্প সভাপতি সালাউদ্দীন খান পান্নু বক্তব্য না দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা আমার ভাই-ব্রাদার। এনিয়ে লেখালেখি করবেন কেন। আমি আপনাদের সাথে দেখা করবো। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজিব রায় বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কাজ না করলে বিল দেওয়া হবে না। খাল ও বাঁওড় পুনঃখননে যতটুকু গভীর করে কাটবে ততটুকুর বিল দেওয়া হবে। আর আগের প্রকল্পগুলোতে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিক দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও বর্তমান প্রকল্পে বেকু মেশিন দিয়ে কাজ করার কথা রয়েছে।

ফরিদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, খাল ও বাঁওড় খননের কাজ দ্রæত শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে অনিয়মের বিষয় তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital