টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে ৯৭ ভাগ অভিভাবক

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে ৯৭ ভাগ অভিভাবক

Students in an enthusiatic class, Primary School, Dhabura, Bhojipura ACTIONAID INDIA's Child Rights Knowledge Hub is conducting a nation wide stock-taking study on the status of Implementation of the Right to Education Act. Soumi Das, our Photographer travels to Uddham Singh Nagar in UP to cover the life in a day of the students in a Primary School. The stock taking study will sson be made available on the ACTIONAID India Website under the "Reports & Publications" Section.

করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ আছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে শিক্ষার্থীরা। ফলে শিশুদের মানসিক চাপ বেড়েছে। প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ, মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়মিত পড়াশোনার বাইরে। এ অবস্থায় প্রাথমিক স্তরের ৯৭ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেছেন, তারা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চান। মাধ্যমিকের ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর অভিভাবক সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।

পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) যৌথ গবেষণায় এসব তথ‌্য জানা গেছে।

সোমবার (১০ মে) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন।

গবেষণা প্রবন্ধে স্কুল খোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। তবে, করোনা পরিস্থিতির গতিবিধি দেখে স্কুল খোলার দিনক্ষণ ঠিক করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

শহর ও মফস্বলের ৬ হাজার ৯৯ জন অভিভাবকের ওপর জরিপের ভিত্তিতে এ গবেষণা করা হয়েছে। গত ১১ থেকে ৩১ মার্চ এ জরিপ করা হয়।

গবেষণার তথ্য বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ ও মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী শিখতে না পারার (লার্নিং লস) ঝুঁকিতে আছে। পুনরুদ্ধার কর্মসূচি হাতে নিয়ে এদের না শেখালে তারা ঝরে পড়বে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মহামারিতে শহরে বসবাসরত ১০ থেকে ২০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা (১৫.৭ শতাংশ) গ্রামের (৮.৪ শতাংশ) তুলনায় দ্বিগুণ মানসিক চাপে আছে। অভিভাবকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই মানসিক চাপের লক্ষণগুলো হলো—অধৈর্য্য, রাগ বা উগ্র ভাব এবং বাইরে যেতে ভয় পাওয়া। ঘরের বাইরে যেতে ভয় পাওয়ার হার গ্রামের চেয়ে শহরের তরুণদের মাঝে বেশি।

এই জরিপে পিতামাতার ব্যবহার ও সম্পৃক্ততাও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। অধিকাংশ অভিভাবক শিক্ষার ঘাটতি (৪৮ শতাংশ) এবং অনুৎসাহ (৫৯ শতাংশ) নিয়ে চিন্তিত। তারা (৪৬ শতাংশ) শিক্ষার ব্যয়ভার নিয়েও শঙ্কিত। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বরং তারা (১৪ শতাংশ) কম চিন্তিত। যদিও অর্ধেক অভিভাবক বিলম্বিত/ স্নাতক পাস সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলেন, প্রায় ৪৪ শতাংশ স্থগিত পরীক্ষা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাস হলে ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন ৩১ শতাংশ অভিভাবক।

পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান স্কুল বন্ধের ফলে সৃষ্ট তিনটি প্রধান সংকটের কথা তুলে ধরেন-শিক্ষক ঘাটতি, শিক্ষাব্যয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন স্তরের সামাজিক দূরত্ব।

তিনি বলেন, আমরা কোভিডের কারণে একটি অনিশ্চয়তার মাঝে বাস করছি। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউকে আমলে নিয়ে পিপিআরসি-বিআইজিডির পরামর্শ হচ্ছে শিক্ষার ঘাটতি ঠেকাতে, শিক্ষায় অনাগ্রহ কমাতে এবং অভিভাবকদের শিক্ষা সংক্রান্ত আশঙ্কা দূর করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া দরকার।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital