বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এর আগে শাকুকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা । আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজনদের একজন কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। তারই ভাই সাইদুল ইসলাম শিকদার। মিতু হত্যার পর তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার যে মামলা করেছিলেন, সেই মামলার তদন্তে এই দুই ভাইয়ের নাম এসেছিল। সাইদুল গ্রেপ্তার হয়ে পরে জামিনে মুক্তি পান। বুধবার রাত ১০টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট বাজার এলাকা থেকে সাকুকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে র্যাব। আজ সকালে তাকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মিতু হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার, তার সোর্স কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ভোলা, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু, সাইফুল ইসলাম সিকদার ওরফে শাকু ও শাহজাহান মিয়া। এর আগে, ১১ মে নিহত মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল ৭টা ১৭ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে প্রথমে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ওই সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার। মামলাটি চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ৩ বছর ১১ মাস তদন্তে থাকার পর গত বছরের মে মাসে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। পরে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।