গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখানে ১০৯ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ২৮ শিশু ও অন্তত ১১ নারী রয়েছেন। আর গত সোমবার ইসরায়েলি আক্রমণ শুরুর পর থেকে সেখানে আহত মানুষের সংখ্যা ৫৮০ জন। এদিকে ঈদুল ফিতরের দিনেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ঈদের দিন ১৯ জন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি নিহত হন। দেশটিতে করোনা রোগীর কারণে আগে থেকেই নাজেহাল হাসপাতালগুলো আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
আজ-জাজিরার এক খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বাহিনী তাদের বিমান হামলা ও গোলা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে হামাস গাজা থেকে রকেট ছোড়া চালিয়ে যাচ্ছে। হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলে সাতজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার গাজা সীমান্তে ইসরায়েল তাদের দুটি পদাতিক ও একটি সাঁজোয়া ইউনিট মোতায়েন করে। পাশাপাশি আরও সাত হাজার সেনাকে প্রস্তুত হতে বলা হয়েছে। জানিয়েছে বিবিসি।
সংঘাতের শুরু, ইসরায়েলের অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি পরিবারের বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কা থেকে। সম্প্রতি ওই পরিবারগুলোতে ইফতারের জন্য ফিলিস্তিনিরা জড়ো হলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত এবং ১৫ জন গ্রেপ্তার হন।
এর পরদিন শুক্রবার আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে হাজার হাজার মুসল্লি জড়ো হয়ে ফিলিস্তিনি পরিবারকে উচ্ছেদের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেন। সেখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের সংঘর্ষ হয়। রক্তক্ষয়ী এ সংঘাতে ২০৫ জন ফিলিস্তিনি এবং ১৭ ইসরায়েলি পুলিশ সদস্য আহত হন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে পুলিশ।