গোপালগঞ্জে চুরি মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে আসামির ছেলে ও পুত্রবধূকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এসময় তাদের চার মাসের শিশু সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। আজ শনিবার সকালে সদর উপজেলার চরমানিকদাহ গ্রামের কাজির বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, সকালে চুরি মামলার আসামি কাইয়ুম মোল্লাকে সাদা পোশাকে ধরতে যান গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই অজিত কুমার সরকার ও এএসআই সাইদুর রহমান। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কাইয়ুম পালিয়ে যান।

এজন্য ওই দুই পুলিশ সদস্য কাইয়ুম মোল্লার ছেলে ইনছানকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এসময় ইনছানের স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাকেও পেটায় এবং তার কোলে থাকা চার মাসের শিশুপুত্রকে তার কোল থেকে ছিটকে ফেলে দেয়।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন বাড়ির সামনে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে ওই দুই পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে খবর পেয়ে সদর থানার ওসি মো: মনিরুল ইসলাম অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন এবং আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত ইনছান মোল্লা বলেন, পুলিশ আমার বাবা কাইয়ুম মোল্লাকে ধরতে যায়। আমি পুলিশ দেখে চিৎকার দিলে আমার বাবা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এই রাগে আমাকে বাঁশ দিয়ে পেটাতে থাকলে আমার স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে এবং আমার শিশুপুত্রকে ফেলে দেয়। আমাদের পুলিশের গাড়িতে করে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়।

তবে অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য এসআই অজিত কুমার সরকার ও এএসআই সাইদুর রহমানের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, একাধিক চুরি ও ডাকাতি মামলার আসামি কাইয়ুম মোল্লাকে গ্রেপ্তার করতে দুই পুলিশ তাদের বাসায় যায়। এসময় পুলিশ আসামিকে ধরে ফেললে তার পুত্রবধূ পুলিশের হাত কামড়ে দেয় এবং অভিযুক্ত কাইয়ুম পালিয়ে যায়। পুলিশের সঙ্গে ইনছান ও তার স্ত্রীর ধস্তাধস্তি হয়। এসময় তাদের শিশুটিও আঘাত পায়। তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর উত্তারপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশসহ উভয় পক্ষের অর্ধশত মানুষ আহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা হয়। এই মামলায় অনেকে আসামি আছেন। এতে পুলিশের বিপক্ষে একটি গ্রুপ এই অপবাদ দিচ্ছে।