গত বুধবার রাতে ফরাসি কাপের সেমি-ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ২-২ সমতার পর টাইব্রেকারে মোঁপেলিয়েকে ৬-৫ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় পিএসজি।
মোঁপেলিয়ের অ্যান্ডি ডেলর্ট ২-২ সমতা ফেরানোর তিন মিনিট পর ৮৬তম মিনিটে নেইমারকে মাঠে নামান পিএসজি কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো। মাঠে নামার মাত্র মিনিট পাঁচেক এর মধ্যেই প্রতিপক্ষ দলের মিডফিল্ডার সাভানিয়েরকে ফাউল করে বসেন নেইমার। রেফারিও সঙ্গে সঙ্গে দেখিয়ে দেন হলুদ কার্ড। তাতেই ফরাসি কাপের ফাইনালে নিষিদ্ধ থাকতে হবে নেইমারকে।
পরে ইন্সটাগ্রামে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান ২৯ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
এমন ‘অযৌক্তিক’ নিষেধাজ্ঞা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না পিএসজির এই তারকা খেলোয়ার। এর পেছনে ব্যক্তিগত কোনো কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
প্রতিক্রিয়ায় নেইমার জানান, আমি পাঁচ মিনিট খেলেছি, একটি ফাউল করেছি এবং তিনি (রেফারি) এমনকি কোনো কিছু না ভেবেই আমাকে হলুদ কার্ড দিয়েছেন। ফাইনালে আমাকে নিষিদ্ধ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি মনে করি, এটা ব্যক্তিগত কোনো কারণ।
নেইমারের এমন প্রতিক্রিয়ায় হয়তো সঙ্গ দেবেন তার ভক্তরাও। কারণ নিশ্চিতভাবে এটা অবিচার ছাড়া আর কিছুই নই। লিগের এর আগের ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ড বা কোনো লালকার্ড দেখেননি নেইমার।
তবে এই শাস্তির ব্যাপারে জানা গেছে, নেইমারের অতীত ঘেঁটে কাসুন্দি বের করেছেন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ)। তার অতীতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তারা।
এফএফএফ বলছে, অতীত বিবেচনা করে শাস্তি দেয়া হয়েছে নেইমারকে। এক মাস আগেই লিলের তিয়াগো জালোর সঙ্গে মারামারি বাঁধিয়ে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন নেইমার। ওই ঘটনার পর নেইমারকে সাবধান করে বলা হয়েছিলো- একই ধরনের কোনো ঘটনায় জড়ালে শাস্তি পাবেন তিনি। মোঁপেলিয়ের বিপক্ষে হলুদ কার্ড পাওয়ায় ‘নিষেধাজ্ঞার’ শাস্তি পেলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
এদিকে চতুর্থ স্তরের দল হৃহিমিয়ি-ভালিয়েয়া ও লিগ ওয়ানের ক্লাব মোনাকোর মধ্যে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে জয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনালে খেলবে পিএসজি। কিন্তু এই ফাইনালে নেইমারকে দেখতে পাবেন না তার ভক্তরা। সূত্র: ফ্রেঞ্চ ২৪