টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
পাবনায় ডোবা থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার 

পাবনায় ডোবা থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার 

পাবনার বেড়া উপজেলায় ফাতেমা খাতুন (২১) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী রাকিবুল ইসলামকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।

রাকিবুল ইসলাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সদস্য। তাঁর দেওয়া তথ্যানুযায়ী পুলিশ  ১৫ মে শনিবার সকাল ৯টার দিকে সাঁথিয়া উপজেলার তলট গ্রামের ইছামতী নদীর কচুরীপানার ভেতর থেকে ঐ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছেন। পুলিশ ও নিহত গৃহবধূর স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, বেড়া পৌর এলাকার শম্ভুপুর মহল্লার আব্দুল কাদেরের মেয়ে কানিজ ফাতেমার সঙ্গে বছর দুয়েক আগে সাঁথিয়া উপজেলার ফেচুয়ান গ্রামের চাঁদু শেখের ছেলে রাকিবুলের বিয়ে হয়। রাকিবুল সেনা বাহিনীতে চাকুরি করেন। বিয়ের পর থেকেই রাকিবুল ও ফাতেমার বনিবনা হচ্ছিল না।
ফাতেমার বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ রাকিবুল পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ার কারণেই তাঁদের সংসারে অশান্তি দেখা দেয়। এ অশান্তির কারণে রাকিবুল প্রায়ই ফাতেমাকে নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে গত দুবছরে একাধিক সালিশ বৈঠকও হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি রাকিবুল তাঁর কর্মস্থল থেকে দুমাসের ছুটি নিয়ে বাড়ি আসেন। তিনি বাড়ি আসার পর ফাতেমার ওপর নির্যাতন বেড়ে যায় বলে তাঁর বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ। এ অবস্থায় গত ৮ মে ফাতেমা স্বামীর বাড়ি থেকে বেড়া পৌর এলাকার শম্ভুপুর মহল্লায় অবস্থিত বাবার বাড়িতে চলে যান।
এরই মধ্যে ঈদের আগের দিন ১৩ মে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ফাতেমাকে খুঁজে না পেয়ে তাঁর বাবা বেড়া থানায় একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ১৪ মে শুক্রবার রাতে রাকিবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে আনে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে রাকিবুলই মুঠোফোনে ফুসলিয়ে বাবার বাড়ি থেকে বাইরে ডেকে এনে ফাতেমাকে হত্যা করেছেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যানুযায়ী ১৫ মে শনিবার সকাল ৯টার দিকে পুলিশ সাঁথিয়ার তলট গ্রামে ইছামতী নদীর ঘন কচুরি পানার ভেতর থেকে ফাতেমার লাশ উদ্ধার করেন।
ফাতেমার ভাই মেহেদী হাসান বলেন, বিয়ের পর থেকেই রাকিবুল আমার বোনের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। এ নিয়ে আমরা একাধিক সালিশ বৈঠক করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বোনকে বাঁচাতে পারলাম না। আমরা ওর ফাঁসি চাই।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, সন্দেহ হওয়ায় রাকিবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানতে পারি তিনি স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে ডেকে এনে হত্যা করেছেন এবং লাশ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রেখেছেন। তাঁর দেওয়া তথ্যানুযায়ী আমরা লাশ উদ্ধার করি।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, লাশ উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বেড়া থানায় গৃহবধূর বাবা বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital