রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্ব শাহী মহল্লা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা রাহিমা বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এলাকাবাসী জানান, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার পানখালী গ্রামের আলম হাওলাদারের ছেলে কবির হোসেন শাহীবাজার এলাকার দেলোয়ার হোসেন বাচ্চু মিয়ার মেয়ে বাসিরুল বেগমকে (২০) দুই বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলো। সেই বিরোধের জের ধরে রোববার রাতে বাড়ির কাছে সড়কে শাশুড়িকে একা পেয়ে মাথায় ও বুকে একাধিক ছুরিকাঘাত করে পালানোর চেষ্টা করে কবির। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে দেয় এবং আহত রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কবিরের দাবী, তার স্ত্রী বাসিরুল বাবার বাড়ি আসলে আর স্বামীর বাড়ি যেতে চাইতো না। বাসিরুলকে নিতে আসলে তার শাশুড়ি রাহিমা বেগম বাধা দিতেন, ঝগড়া করতেন। ১৭ দিন আগে তাদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তখন স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাড়ি যেতে চাইলে তার শাশুড়ি বাধা দেয়। এরপরই পরিকল্পনা করেন শাশুরিকে হত্যা করার। সেমতে বাড়ি থেকে ধারালো কেচি নিয়ে এসে শশুর বাড়ির কাছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন এবং শাশুড়ি আসা মাত্রই কেচি দিয়ে মাথায় ও বুকে একাধিক আঘাত করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার এস আই আ: রাজ্জাক জানান, কবিরকে আটক করা হয়েছে। আহত নারীর চিকিৎসা চলছে ঢাকা মেডিকেলে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।