পাবনার ফরিদপুরে মন্দিরে চাপাতির কোপে আহত ঘটনার মামলায় ১ জন গ্রেফতার, এলাকায় পোস্টারিং মামলায় এজারহারভুক্ত আসামী জগদীশ শীলের স্ত্রী শেফালি দাসকে ফরিদপুর থানা পুলিশ গত ১৫ মে শনিবার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে এবং প্রধান আসামীকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে এলাকায় পোস্টারিং করা হয়েছে।
গত ১১ মে গোপালনগর মন্দিরের পুজার্চনা নিয়ে বর্তমান ও সাবেক কমিটির সদস্যদের মধ্যে কথাকাটির এক পর্যায়ে সাবেক কমিটির সম্পাদক দীপক সরকারের চাপাতির আঘাতে বর্তমান কমিটির সহসম্পাদক গোপালনগর গ্রামের মৃত জগদীশ পালের পুত্র মদন মোহন পাল(৪৫) মারাত্নক জখম হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফরিদপুর থানার ওসি মাসুদ রানা জানান, ঘটনার দিন সকাল প্রায় ৭টার সময় মন্দিরের পুরোহিত প্রভাষক অপূর্ব তালুকদার পুজা করতে গেলে সেখানে আগে থেকে উপস্থিত থাকা দীপক সরকার ও তার লোকজন পুরোহিতকে পুজা করতে নিষেধ করলে তিনি কমিটির সভাপতি তাপস কর্মকারকে বিষয়টি জানান। সভাপতি তাপস কর্মকার সহসম্পাদক মদন মোহন পালসহ অন্যদের নিয়ে মন্দিরে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে দীপক সরকার তার কাছে থাকা চাপাতি দিয়ে মদন মোহনের মাথায় ও মুখে কোপ দিলে সে রক্তাক্ত জখম হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মদন মোহনকে উদ্ধার করে গোপলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যপারে ফরিদপুর থানায় দীপক সরকার ও শেফালি দাসকে আসামী ৬/২১ নম্বর মামলা করা হয়। দীপক সরকার পলাতক রয়েছে। দীপক সরকারের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে গতকাল ১৬ মে রবিবার পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় কমিটির পক্ষ থেকে পোস্টারিং করা হয়েছে।