আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছেলেমেয়েদের টিকা দেওয়া গেলে তাড়াতাড়ি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর সংস্কার শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ৪০টির সংস্কার শুরু হয়েছে।
কয়েক দিন আগে বেসরকারি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসজনিত বন্ধে প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ ও মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী শিখতে না পারার বা শিক্ষণ ঘাটতির ঝুঁকিতে আছে। এ অবস্থায় শিক্ষার এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার তাগিদ দিচ্ছেন শিক্ষাবিদেরা। তাঁদের অনেকে যেসব এলাকায় সংক্রমণ নেই বা কম, সেসব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ারও সুপারিশ করেছেন। জানা গেছে, এর আগে সরকার করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে ২৩ মে থেকে স্কুল-কলেজ এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং করোনার ভারতীয় ধরন নিয়ে উদ্বেগ থাকায় দেশে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধির চিন্তাভাবনার পাশাপাশি স্কুল-কলেজ খোলাও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।