২০০৭ সালে ভারত সফরে এসেছিল পাকিস্তান। সেই সফরের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে মাস্টার ব্লাস্টার বলেছেন, একটি ওয়ানডে ম্যাচে শোয়েব আখতারের বলে পাঁজরে চোট পেয়েছিলাম। প্রথমে অতটা গুরুতর বুঝতে পারিনি। কিন্তু কয়েকদিন পর থেকে দেখলাম, কাঁশতে গেলে কষ্ট হচ্ছে। এমনকি রাতে ঘুমাতে গেলেও কষ্ট হচ্ছে।
প্রায় দু’মাস এই যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন শচীন। তিনি বলেছেন, ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে প্রথম ওভারেই চোট পাই আখতারের বলে। বেশ যন্ত্রণা হয়েছিল। ওই চোট নিয়েই সিরিজের বাকি চারটি একদিনের ম্যাচ ও টেস্ট সিরিজ খেলেছিলাম। তারপর অস্ট্রেলিয়া চলে যাই।
সেবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনটি টেস্ট ও পাঁচটি একদিনের ম্যাচ খেলেছিল ভারত। তারপর অস্ট্রেলিয়ায় চারটি টেস্ট ও ত্রিদেশীয় একদিনের সিরিজ খেলেছিল ভারত। চোট নিয়েই সব ম্যাচ খেলেছিলেন শচীন।
অস্ট্রেলিয়া সফরে আবার কাফ মাসলে চোট পান শচীন। এরপর ভারতে ফিরে গোটা শরীরের স্ক্যান করান তিনি। এরপরই জানা যায়, তার পাঁজরের হাড় ভেঙেছে।
শচীনের কথায়, পাঁজরের চোট নিয়ে অতটা চিন্তায় ছিলাম না। কাফ মাসলের চোটটাই ভোগাচ্ছিল। তার উপর সামনেই ছিল আইপিএল। চোটের জন্য আইপিএলে সেবার সাতটি ম্যাচ খেলতে পারিনি। তারপর সুস্থ হলেও পুরোপুরি চোটমুক্ত হতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। সবচেয়ে বড় কথা পাঁজরের চোটটা ধরতেই পারিনি।