এর আগে রোববার ইসরাইলের আরব রাজনৈতিক দলগুলো গাজায় হামলার প্রতিবাদে ইসরাইলে বাস করা ফিলিস্তিনিদের প্রতি ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানান। অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীর ও অবরুদ্ধ গাজার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মঘটের এই আহ্বানের প্রতি সমর্থন জানায়। মঙ্গলবার এই ধর্মঘটের অংশ হিসেবে পশ্চিম তীরের রামাল্লা, বেথলেহেম, নাবলুস, হেবরন এবং ইসরাইলের হাইফা, নাজারেথ, লুদসহ বিভিন্ন শহরে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করা হচ্ছে।
আকসা চত্ত্বরে মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে ইসরাইলকে আলটিমেটাম দেয় গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পর গাজা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামাস রকেট হামলা শুরু করে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে শত শত রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাস। ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমে বেশিরভাগ রকেট ধ্বংস করা হলেও বেশ কিছু রকেট ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে। রকেট হামলায় ইসরাইলের ১২ অধিবাসী নিহত ও পাঁচ শ’ ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। ইসরাইল ভূখণ্ডে হামাসের রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে রাত থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলি হামলায় গাজায় অন্তত দুই শ’ ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরো এক হাজার পাঁচ শ’ জন আহত হয়েছেন।