মাগুরায় আবাসিক হোটেলে ভারত ফেরত দের কোয়ারেন্টাইনে থাকা যাত্রিদের মধ্যে তিনজনের দেহে করোনা ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। কিন্তু তারা যে পুরোপুরি ভারতের নতুন ভ্যারিয়েন্ট এর জীবাণু বহন করছে এটা নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
এটা নিশ্চিত হওয়া যাবে জিনম সিকোয়েন্সের পর। আক্রান্ত তিনজনের বাড়ি সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল এবং কুষ্টিয়ায়। তিনজনের মধ্যে একজন ৫০ বছর বয়সি নারী এবং বাকি দুইজন পুরুষ। পুরুষদের বয়স ২৫ ও ৪০ বছর। তবে তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের কোনো উপস্বর্গ দেখা যায়নি।
মাগুরা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ ও ৯ মে মোট ১০১ জন যাত্রি ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল হয়ে দেশে প্রবেশ করে। দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা ভারত ফেরত এসব যাত্রিকে মাগুরার তিনটি আবাসিক হোটেল হোটেল সৈকত, হোটেল মণ্ডল এবং হোটেল ঈগলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ঘোষণা করে ১৪ দিনের জন্যে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
এদের মধ্যে চারজনকে চিকিৎসার জন্যে মাগুরার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ঢাকা ও অন্যান্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্যে বুধবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হলে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে ৬৭ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ওই তিনজন পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
মাগুরার সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, করোনা পজিটিভ তিনজনকে ইতোমধ্যেই মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের করোনা ভাইরাস ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তারা ভারতের নতুন ভেরিয়েন্টের জীবাণু বহন করছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্যে ইতোমধ্যে জিনোম সিকোয়েন্সের কাজ শুরু হয়েছে।
আগামি ৭২ ঘন্টার মধ্যে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।