টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
বিল গেটস-মেলিন্ডার কাছে আসার গল্প

বিল গেটস-মেলিন্ডার কাছে আসার গল্প

বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ ধনী বিলের সঙ্গে ২৭ বছর আগে গাঁটছড়া বেধেছিলেন মেলিন্ডা

গোটা বিশ্বের সেলিব্রেটি দম্পতিদের অন্যতম বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস। বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ ধনী বিলের সঙ্গে ২৭ বছর আগে গাঁটছড়া বেধেছিলেন মেলিন্ডা। প্রায় তিন দশক এক ছাদের নিচে বাস করে বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন এই দুজন। সোমবার রাতে এক যৌথ টুইটার বার্তায় তারা এ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বিশ্বের অন্যতম ধনী। তাদের দু’জনের পরিচয় হয় মাইক্রোসফটেই।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, বিল গেটস ও মেলিন্ডার সম্পর্কের শুরুটা ছিল পেশাভিত্তিক। ১৯৮৭ সালে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে মাইক্রোসফটে যোগ দিয়েছিলেন মেলিন্ডা। এরপর দুজনের মধ্যে জানাশোনা শুরু হয়। এরপরের গল্প দুজনের সামনে এগিয়ে যাওয়া। শুরু হয় দুজনের চুটিয়ে প্রেম। নেটফ্লিক্সে প্রচারিত এক তথ্যচিত্রে বিল গেটস বলেছেন, ‘আমরা একে অপরের খুব খেয়াল রাখতাম। এখানে দুটি সম্ভাবনা ছিল। হয় আমাদের প্রেমে বিচ্ছেদ হবে, নয়তো আমাদের বিয়ে করতে হবে।’

মেলিন্ডা বলেন, তিনি বিল গেটসকে একজন সুশৃঙ্খল মানুষ হিসেবে আবিষ্কার করেছিলেন। এমনকি তাকে বিয়ে করার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিও দিয়েছিলেন বিল—এমনটাই জানিয়েছিলেন মেলিন্ডা। এরপর প্রেম আরও গভীর হয়েছে। প্রেম শুরুর সাত বছর পর ১৯৯৪ সালে তারা এক ছাদের নিচে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

এজন্য ২০০০ সালে দুজনে মিলে গড়ে তোলেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। এটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতব্য সংস্থা। এ ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে সংক্রামক রোগব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই ও শিশুদের টিকাদানে উৎসাহিত করতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছে এ ফাউন্ডেশন।

কিন্তু যে পথ বেঁধে দিয়েছিল বন্ধন, তার বিচ্ছেদের ঘোষণা এল সোমবার। দুজনার দুটি পথ দুটি দিকে গেল বেঁকে। দীর্ঘ ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন বিল ও মেলিন্ডা। টুইটার বার্তায় তারা এ ঘোষণা দিয়েছেন।

এ ছাড়া টুইটবার্তায় বিল গেটস ও মেলিন্ডা বলেন, ‘গত ২৭ বছরে আমরা অসাধারণ তিনটি সন্তান পেয়েছি। এমন একটা ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছি, যে ফাউন্ডেশন বিশ্বজুড়ে মানুষের স্বাস্থ্য ও সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে। আমরা যে বিশ্বাস থেকে ফাউন্ডেশনটি চালু করেছি, সেটা থাকবে। এই ফাউন্ডেশনের কাজ একসঙ্গে চালিয়ে যাব। কিন্তু আমরা এটা আর বিশ্বাস করতে পারছি না যে, আমাদের জীবনের পরের ধাপে দম্পতি হিসেবে আমরা একসঙ্গে থাকতে পারব।’ বিয়ে বিচ্ছেদের কারণ সুস্পষ্টভাবে জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে দুজন দুজনের পৃথিবী নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ কাউকে সময় দিতে পারছিলেন না। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। বছর দুয়েক আগে মেলিন্ডা বলেছিলেন, ‘তাদের বিয়েটা বেশ কঠিন পর্যায়ে ঠেকেছে। বিল নিয়মিত দিনের ১৬ ঘণ্টা কাজ করেন। পরিবারের জন্য তার সময় বের করা দুঃসাধ্য হয়ে যায়।’ ২০১৯ সালে ২৫তম বিবাহবার্ষিকীতে সানডে টাইমসকে তিনি এ কথা বলেন। শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদের পথেই হাটলেন এই সেলিব্রেটি।

মেলিন্ডা আরও জানান, কাজ এবং পরিবারের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন কি না তা নিয়ে ব্যাপক মাত্রায় সন্দিহান ছিলেন বিল গেটস। এমনকি তিনি হোয়াইট বোর্ডে বিয়ের ভাল মন্দ দিকগুলো লিখতে শুরু করেন।

বিচ্ছেদের ঘোষণার আগে আদালতের দারস্থ হয়েছেন বিল ও মেলিন্ডা। তার সহায় সম্পত্তি ভাগাভাগির দায়িত্ব আদালতের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন এই ধনকুবের দম্পতি। পরে ইনস্টাগ্রামে বিল ও মেলিন্ডা গেটসের বড় মেয়ে জেনিফার গেটস লিখেছেন, ‘আমাদের পুরো পরিবারের জন্য একটা দুঃসময় ছিল।’

 

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital