নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা নাসিমা বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় নাসিমা ও তার স্বামী হারুন মিয়া, মেয়ে লতা আক্তার, শিখা আক্তার এবং মেয়ের জামাই মোঃ আন্তর মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে । এসময় কিশোরী শিখা আক্তারকে একটি ঘরে আটকে রেখে সন্ত্রাসীরা শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায় । শুক্রবার রাতে উপজেলার টেকনোয়াদ্দা এলাকায় সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটায়।
নাসিমা আক্তারের থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, একই এলাকার ফিরোজ মিয়া, রাতুল মিয়া, ফয়সাল মিয়া, সুজন মিয়া, মিলন মিয়া, আবু সাঈদ, ফারুক মিয়াদের সঙ্গে তার পূর্ব থেকে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। তারই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার নাছিমা বেগমের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। পরে নাছিমা বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে যান। তদন্তের কাজ শেষ করে পুলিশ চলে আসেন।
পুলিশ চলে আসার পর সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ফের নাছিমা বেগমের বাড়িতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। বাঁধা দেওয়ায় নাছিমা বেগম ও তার দুই মেয়ে শিখা আক্তার ও লতা আক্তার, স্বামী হারুন মিয়া, মেয়ের জামাতা অন্তরকে এলোপাথারি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ও তার ছোট মেয়ে শিখা আক্তারকে তুলে নিযে একটি ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন চালায় এবং শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়। পরে সন্ত্রাসীরা ঐ কিশোরীকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন শিখা আক্তারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
পরে রাতে শিখা আক্তারের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের ভুলতাস্থ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন বলেন, ফের হামলার ঘটনাটি দুঃজনক। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।