শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্ত্রী ও শ্বশুরসহ আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঞ্জুর আলম রশিদনগর ইউনিয়নের কালিরছড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে।
শুক্রবার ঈদগাঁও ইউনিয়নের মাইজপাড়ায় মঞ্জুর আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা আক্তারের বাবা, মা, ভাই-বোনসহ সবাই মিলে দিন দুপুরে মঞ্জুর আলমকে নির্দয়ভাবে মারধর করেন। ওই পিটুনির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা কক্সবাজার জেলা পুলিশের নজরে আসে। ওই ডিডিওর সূত্র ধরে ঈদগাঁও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতেই স্ত্রী রুনা আক্তারসহ ওই পরিবারের আটজনকে আটক করে। মৃত মঞ্জুর আলম দীর্ঘ দিন প্রবাসে কাটিয়েছেন। প্রবাস জীবনে যা আয় করেছেন তা বাংলাদেশে অবস্থানরত তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা আক্তারের নামে পাঠাতেন। ওই টাকায় স্ত্রী নিজের নামে জমি কিনেছেন। আর সেখানেই বানিয়েছেন বহুতল ভবন। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কারণে মনজুর আলম ছুটিতে দেশে আসার পর আর বিদেশ যেতে পারেননি। এ সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। স্বামীর সাথে দূরত্ব বাড়তে থাকে স্ত্রী রুনার। শুক্রবার স্ত্রী রুনা, তার বাবা-মা, ভাই-বোনসহ সবাই মিলে দিন দুপুরে প্রবাস থেকে পাঠানো টাকায় গড়া বাড়ির সামনেই মঞ্জুর আলমকে নির্মমভাবে মারধর করেন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, প্রত্যক্ষদর্শী একজন ওই মারধরের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করলে বিষয়টি জেলা পুলিশের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি টিম ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।