রবিবার জেলার কালীগঞ্জ ও শৈলকূপা উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোটরসাইকেল চালক ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। সে একটি টোব্যাকো কোম্পানির কালীগঞ্জ উপজেলা ডিপো ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং প্রতিবন্ধী তরুণী একই জেলা শহরের মথুরাপুর মালোপাড়ার আলীম উদ্দিনের মেয়ে।
ঝিনাইদহ শহরের হাইওয়ে বাস টার্মিনাল ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বজলুর রশিদ জানান, ঈমান জুবায়ের হোসেন কর্মস্থল থেকে কাজ শেষ করে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। বিষয়খালী কড়াইতলা নামকস্থানে পৌঁছালে কালীগঞ্জগামী একটি ট্রাকের সাথে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এবং ট্রাকের চাকায় তার মাথা পিষ্ট হওয়ায় ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার সময় থানার সামনে ট্রাকটির নাম্বার প্লেট পড়ে যায়। ট্রাকটি পালিয়ে গেলেও সহজেই আটক করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করছেন তিনি।
এদিকে, অজ্ঞাত প্রতিবন্ধী তরুণী কুষ্টিয়া থেকে সিএনজিযোগে ঝিনাইদহে ফিরছিল। পথেমধ্যে শৈলকূপা উপজেলার ভাটইবাজার এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগামী সিএনজি থেকে ও্ই তরুণী ছিটকে রাস্তার উপর পড়ে মারাত্মক আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।