রাজধানীর একটি বাসা থেকে এলএসডি নামক (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) মাদক জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ। ডিবি বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তারা এই মাদকের সন্ধান পেয়েছে। দেশে এলএসডি জব্দের ঘটনা এটাই প্রথম বলে জানিয়েছে ডিবি। এলএসডি বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল বুধবার রাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। তাঁরা হলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র লুপল ও তুর্জ এবং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র আদিব। ডিবি পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল একটি সূত্র প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে আজ বেলা দুইটার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার সংবাদ সম্মেলন করবেন।
হাফিজের মৃত্যু, তাঁর চিকিৎসা এবং অজ্ঞাতনামা হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে তাঁর লাশ আট দিন পড়ে থাকার ঘটনার তদন্ত দাবি করে আসছেন তাঁর সহপাঠীরা। ডিবি পুলিশের দাবি, যে তিন বন্ধু হাফিজুর রহমানকে এলএসডি সেবন করিয়েছেন, তাঁরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
লাইসারজিক অ্যাসিড থেকে তৈরি করা হয় এলএসডি। এই অ্যাসিড বিভিন্ন দানাদার শস্যে থাকা এরগোট ছত্রাকে পাওয়া যায়। ১৯৩৮ সালে বিভিন্ন উপাদানের মিশ্রণে প্রথম এলএসডি তৈরি হয়। এটি এতই শক্তিশালী যে এর ডোজগুলো সাধারণত মাইক্রোগ্রাম হিসেবে নেওয়া হয়। এটি উত্তেজক, আনন্দদায়ক। মনের ওপরও এর প্রভাব রয়েছে। কখনো কখনো এর প্রভাবে ভীতিকর অনুভূতি তৈরি হয়। এমনটা ঘটলে একে ‘ব্যাড ট্রিপ’ বলা হয়।