গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সাকিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সাকিবুর রহমান জানান, তেলিভিটা গ্রামের মোটরগ্যারেজ ব্যবসায়ী বিভাষ কৃত্তনীয়া করোনার উপসর্গ ঠাণ্ডা ও জ্বর নিয়ে গত রোববার মারা যান। এর জের ধরে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিলে তারা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানায়।
পরে ওই গ্রামের ৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। গতকাল বুধবার (২৬ মে) এর মধ্যে ২৩ জনের করোনা পজেটিভ আসে। পরে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
এ কারণে বুধবার সকাল থেকে তেলিভিটা গ্রামসহ আশপাশের জনবহুল এলাকা বিশেষ লকডাউনের আওতায় আনা হয়। এছাড়া ওই গ্রামের আরো ৮৭ জনের করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যাদের রিপোর্ট আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে আসবে বলে জানা গেছে।
এদিকে করোনা আতঙ্ক ও সংক্রমণ রোধে সদর উপজেলার সাতপাড়ের সাপ্তাহিক হাত বন্ধ ঘোষণা করে সাতপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজিত মন্ডল।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সাকিবুর রহমান জানান, তেলিভিটা গ্রামের ব্যবসায়ী বিভাষ কৃত্তনীয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে স্বাস্থ্যবিভাগ ওই গ্রামের মানুষের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে ব্যাপকহারে করোনা রোগী ধরা পড়ে। করোনা সংক্রামণ রোধে আমরা তেলিভিটা গ্রাম ও আশপাশের জনবহুল এলাকায় বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করি। আক্রান্তদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।