২৬ মে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। বিএনপির উদ্যোগে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পবিত্র দিন বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল আলোচনা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (সরকার) সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবাস্প, সাম্প্রদায়িকতার বীজ এখানে বপন করছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পার্শ্ববর্তী দেশে যে সম্প্রদায়িকতার উত্থান হয়েছে তাকে নিয়ে এসে তারা বাংলাদেশে ঢুকিয়েছে।
“বাংলাদেশের মানুষ যারা একাত্তর সালে যুদ্ধ করেছিলো সত্যিকার অর্থে একটি অসাম্প্রদায়িক একটি গণতান্ত্রিক একটি সাম্যের ভুখন্ডের মধ্যে মানুষের রাষ্ট্র তৈরি করবার জন্যে। সেটা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়ে গেছে, সেটা আজকে সম্পূর্ণভাবে এক শ্রেনীর মানুষ যারা শুধু নিজেদের ক্ষমতায় রাখার জন্যে, নিজেদের বৃত্ত তৈরি করবার জন্যে, নিজেদের প্রভাবকে বিস্তার করবার জন্যে আজকে সমস্ত ব্যবস্থাগুলোকে ধবংস করে দিয়ে সত্যিকার অর্থে একটা দানবীয় রাষ্ট্র তৈরি করেছে। এদেশে কোনো শান্তি নেই, এখানে হিংসা, প্রতিহিংসা কাজ করছে। এখানে কোনো কল্যাণ নেই, এখানে শুধু সাধারণ মানুষের পকেট লুট করে তাদের বৃত্ত তৈরি করছে।”
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের এই পবিত্র রজনী এবং সেই পূর্ণিমার রাত এবং এটা বুদ্ধ পূর্ণিমা। অনেকে বলেছেন, এটা হচ্ছে সমগ্র পৃথিবীকে আলোকিত করবার একটি রাত। আমরাও আশা করি আগামীদিনগুলোকে দেশের সমস্ত মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবে। ঐক্যবদ্ধ হবে একটি জায়গায় এসে যে, আমরা অন্ধকারকে দূর করবো।
অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে এই পবিত্র দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া।