শুক্রবার বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রামের স্থানীয়রা এমন প্রতিবাদ জানান। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রামের বটতলা মোড় থেকে কমলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে কালিস্থান বাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার পথ কাঁচা রাস্তা। জনবহুল এলাকার এ রাস্তা হয়ে হাজার হাজার পথচারী যাতায়ত করেন। লালমনিরহাট জেলার সর্বাধিক সবজি চাষাবাদের এলাকা কমলাবাড়ি। এই এলাকার সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে করে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের পাইকারী বাজারে বিক্রি হয়। সবজি চাষবাদ করে সংসার নির্বাহ করে এ এলাকার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ।
এ অঞ্চলের চাষিদের উৎপাদিত সবজিসহ সকল কৃষি পণ্য ওই কাচা রাস্তা হয়ে জেলা সদর, উপজেলা সদর অথবা কালীগঞ্জ সদরসহ ঢাকায় চলে যায়। যার কারণে ওই কাঁচা রাস্তা হয়ে প্রতিদিন ট্রাকসহ শতাধিক ছোট ছোট পন্যবাহি গাড়ি চলাচল করে। স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারনের চলাচলের একমাত্র পথ এটি। এই রাস্তা হয়ে যেতে হয় কমলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ।
জনবহুল এ তিন কিলোমিটার রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে পাকাকরণের দাবি জানিয়ে আসছে এ অঞ্চলের মানুষ। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পুরন হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতে কাদা জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বটতলা থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার পথ সম্পুর্ন রুপে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে দিনভর বৃষ্টিতে। তাই স্থানীয়রা এ কাদাযুক্ত রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানায়।
স্কুলছাত্র মেহেদী, হৃদয় ও বায়েজিদ জানায়, সামান্য বৃষ্টি হলে ইউনিয়ন পরিষদ যাওয়া তো দুরের কথা বাজার বা স্কুল কলেজও যাওয়া যায় না। বর্ষাকালে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানালেও কোন কাজ হয়নি। তাই কাঁদাযুক্ত রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।
সবজি চাষি আব্দুল মান্নান ও সবজি ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, রাস্তাটি কাঁদাযুক্ত হওয়ার কারণে বর্ষাকালে এ অঞ্চলের সবজিসহ সকল কৃষিপন্য পরিবহনে খরচ অনেক বেড়ে যায়। বর্ষাকালে অনেক গাড়ি মালিক এ অঞ্চলে গাড়ি পাঠাতে চায় না। গাড়ি প্রায় সময় বিকল হয়। তাই রাস্তাটি পাকাকরনের দাবি করলেও কোন কাজই হচ্ছে না।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আব্দুস সোবহান বলেন, বর্ষাকালে এ রাস্তা হয়ে চলাচল করা যায় না। এক দিনের বৃষ্টিতে গাড়িতে তো দুরের কথা পায়ে হেঁটেও যাওয়ার সুযোগ নেই। সবজি এলাকা খ্যাত এ অঞ্চলের জনবহুল এ রাস্তাটি পাকা করা খুবই জরুরী।