ব্রেক্সিট চুক্তি অনুসারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নাগরিকরা ভ্রমনের উদ্দেশ্যে ৯০ দিনের জন্য কোনো প্রকার ভিসা ছাড়াই ইউনাইটেড কিংডময়ে (ইউকে) প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম কয়েকমাসে তিন হাজার ২৯৪ জন ইইউ নাগরিককে ইউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। যা গতবছরের তুলনায় কয়েকগুন বেশি। যাদের ইউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি তাদের মধ্যে ৭৩৮ জন ইইউ নাগরিককে বর্ডার থেকেই ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকিদেরকে বহিষ্কারের আগে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়। আর কাউকে সিদ্বান্ত নিতে দেরি হওয়ায় এয়ারপোর্টে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হয়। এমনকি অনেককে এয়ারপোর্টেই রাত কাটাতে হয়।
ইউকে সীমান্তে তার সাথে খারাপ আচরণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে সাত ঘণ্টা পোর্টে আটক রাখা হয়। তারা আমাকে বলেছে আমি যে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখিয়েছি তা সন্তোষজনক নয়। আমার ফান্ডে (চার হাজার ৫০০ ইউরো) পর্যাপ্ত টাকা নেই যা দিয়ে চলতে পারবো। আমি হয়তো সেখানে গেলে বেনিফিট ক্লেইম অথবা কাজ করবো।
তিনি বলেন, আমার সাথে যে আচরণ করা হয়েছে তাতে আমি অসন্তুষ্ট এবং বিরক্ত হয়েছি। আমি আমার জীবনে এত অপমানিত হইনি। আমি আর কখনো ইউকে যাব না। আমার ডায়রি থেকে ইউকে দেশটি ডিলেট করে দিয়েছি। আমার শব্দভাণ্ডারে এই দেশটি আর নেই।
অভিবাসন নিয়ম অনুসারে ইইউ নাগরিক ইউকে ভ্রমনের আগে আবেদনকারীকে অবশ্যই নিশ্চিত করা উচিত যে তিনি এই সফরের পরে ইউকে ত্যাগ করবেন। এবং তার ভ্রমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত এবং সেখানে থাকা অবস্থায় কোনো প্রকার অপরাধমূলক কাজে জড়িত হবেন না বলে নিশ্চয়তা প্রধান করতে হয়। আবেদনকারীকে সেখানে থাকা অবস্তায় যাবতীয় খরচের তহবিলের সাথে সম্ভাব্য জরুরি চিকিৎসার পর্যাপ্ত তহবিলও থাকতে হয়।