স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস শুরু এবং হোস্টেল খুলে দেওয়ার দাবিতে রোববার রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে মানববন্ধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।সমাবেশে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, “আজকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব কিছুই চলছে। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতেই করোনার দোহাই দেওয়া হচ্ছে।
“সেশনজট নিরসন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখছি না। আমাদের শিক্ষাজীবনকে অনিশ্চতায় ফেলে তারা বার বার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পেছাচ্ছে।” জুনের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দেওয়া হলে ‘আরও কঠোর’ আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে এই শিক্ষার্থী বলেন, “সারাদেশের ছাত্র সমাজকে নিয়ে রাজপথ অচল করে দেওয়া হবে।”
ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মারুফা প্রীতি বলেন, “আমাদের সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের এমনিতেই সেশনজট পিছু ছাড়ে না। এর মধ্যে এই করোনাভাইরাস আমাদের শিক্ষাজীবনকে চরম অনিশ্চয়তায় ফেলেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন একদল শিক্ষার্থী।
সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী রেদোয়ান হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলছেন। কিন্তু কবে নাগাদ কীভাবে ভ্যাকসিন দেবেন, কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবেন, তা নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দিচ্ছেন না।
“দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। আমরা অনলাইনে নয়, সরাসরি পরীক্ষা দিতে চাই। অনলাইন বিড়ম্বনায় আমাদের শিক্ষার্থীদের সবার পরীক্ষা দেওয়ার সক্ষমতা নেই।”
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছর ১৭ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকার কয়েক দফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর পরিকল্পনা করলেও মহামারীর কারণে দফায় দফায় ছুটি বাড়াতে হয়েছে।