টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ ডেউয়া ফল

ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ ডেউয়া ফল

পাবনার চাটমোহরের পথে ঘাটে চোখে পড়ে অসংখ্য ডেউয়া গাছ 

অপ্রচলিত, ভেষজ গুণসম্পন্ন ফল ডেউয়া। অনেকে একে ডেউফল, ঢেউফল বা বন কাঁঠালও বলে থাকেন। বানিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ না হলেও পাবনার চাটমোহরের পথে ঘাটে দুচারটি ডেউয়া গাছ চোখে পরে। অবহেলা অনাদরে বাড়ির আশে পাশে বা রাস্তার পাশে বহু শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট বড় আকারের এ গাছ বেড়ে ওঠে। ডেউয়া গাছ ২৫ থেকে ৩০ ফিট উঁচু হয়। ধুসর বাদামী রঙের ছালে আবৃত এ গাছের ভেতরে সাদা জাতীয় কষ থাকে। পাতা ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি চওড়া এবং প্রায় ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। স্ত্রী ফুল থেকে কাঁঠালের মতো গুচ্ছ ফল হয়। এ ফলের বাহির ভাগ সমান নয়। কাঁচা ফল দেখতে সবুজ হলেও পাকলে এ ফল হলুদ রঙ ধারণ করে। ফলের ভিতরে কাঁঠালের কোয়ার চেয়ে অপেক্ষাকৃত ছোট আকৃতির লালচে হলুদ রঙের অনেক কোয়া থাকে। প্রতিটি কোয়ায় একটি করে বিচি থাকে।

চাটমোহরের বিলচলন ইউনিয়নের দোলং মহল্লার নূরুল ইসলাম জানান, প্রায় পনেরো বছর পূর্বে তিনি দুটি বন কাঁঠালের গাছ লাগিয়েছিলেন। প্রায় দশ বছর যাবত গাছ দুটিতে বন কাঁঠাল ধরছে। এক একটি বন কাঁঠাল ২শ থেকে ৪শ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। চওড়া পাতার নিচে থোকায় থোকায় বন কাঁঠাল ধরে। বাজারে বন কাঁঠালের চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত ওঠে না। প্রতিটা বন কাঁঠাল ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করা যায়। ছোট ছেলে মেয়ে, কিশোর কিশোরীরা টক মিষ্টি স্বাদের এ ফলটি পছন্দ করে। তিনি আরো জানান, বন কাঁঠাল পাকলে হলুদ রঙ ধারণ করে। ফলের মধ্যে ছোট আকৃতির বিচি হয়। ছেলে মেয়েরা বিচি ফেলে আশ জাতীয় অংশ টুকু খায়।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আল ইমরান জানান, বন কাঁঠাল মোরাসি পরিবার ভূক্ত ক্রান্তীয় চির সবুজ বৃক্ষ। ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বন কাঁঠাল গাছ জন্মে। বর্ষাকাল এ গাছ রোপণের উপযুক্ত সময়। মার্চ মাসের দিকে বন কাঁঠাল গাছে পুরুষ ও স্ত্রী ফুল ধরে। স্ত্রী ফুল থেকে ফল হয়। জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পাকতে শুরু করে। বন কাঁঠাল গাছ থেকে হলুদ বর্ণের মজবুত ও মূল্যবান কাঠ পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে বন কাঁঠাল বা ডেউয়া গাছ কমে যাচ্ছে। এ বৃক্ষ সংরক্ষণে আমাদের যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।

চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ রুহুল কুদ্দুস ডলার জানান, ‘‘বন কাঁঠাল সুস্বাদু ও উপকারী একটি অপ্রচলিত ফল। এ ফলটি স্মৃতি শক্তি ও রুচী বাড়ায়। ভেষজ গুন সম্পন্ন ডেউয়া বা বন কাঁঠাল মেদ ও কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করতে ভূমিকা রাখে। ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ হওয়ায় এ ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।’’

(ক্যাপশন ঃ চাটমোহরের অনেক গাছে ধরেছে । ছবিটি বিলচলন ইউনিয়নের দোলং গ্রাম থেকে তোলা হয়েছে)।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital